শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বার ২০২৫,

কৃষি উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ

ছদাহা খোর্দ্দ কেঁওচিয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ

ছদাহা খোর্দ্দ কেঁওচিয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ। প্রবাসে ছিলেন বছর দুয়েক। দেশে ফিরে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন। নিত্য নতুন জাতের ফল ও ফসল চাষে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন। তাঁর ক্ষেতের বরোমাসি তরমুজ পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিক কৃষক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

তাঁর কৃষি উদ্যোগ সম্পর্কে জানা যায়, আবুল ফয়েজ দীর্ঘ আড়াই বছর মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করেও তাঁর মন পড়ে রয়েছিলো স্বদেশের প্রতি। স্বদেশের কৃষির অগ্রগতি ও উন্নয়ন করার প্রচণ্ড ইচ্ছা তাঁকে বিদেশের দিনার, রিয়ালের হাতছানি আটকে রাখতে পারেনি। তিনি ফিরে আসেন প্রিয় স্বদেশে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকের শুরুতে তাঁর জন্ম দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দকেঁওচিয়া গ্রামের মাঝের পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কৃষি সম্পর্কে তাঁর সৃষ্টিশীল প্রথম পাইলট প্রকল্প ছিলো স্কোয়াশ চাষ। মালচিং শীট পেপারের প্রথম ব্যবহারও তিনি করেন। কৃষি সম্প্রসারণ বার্তা এবং বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া তাঁকে নিয়ে ফলোআপ করে। স্কোয়াশ চাষ করে তিনি সফলতা পাবার পরে নানা প্রজাতির বারোমাসি তরমুজ চাষ শুরু করেন। তাঁর পরামর্শ নিয়ে ছদাহা ইউনিয়নের অনেক কৃষক স্কোয়াশ এবং অন্যান্য ফসলাদি ফলনে উদ্বুদ্ধ হন। তাঁকে এ সমস্ত নতুন চাষে সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে গেছেন সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব প্রতাপ চন্দ্র রায় এবং সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন খোর্দ্দ কেঁওচিয়া ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আয়ুব আলী।

আবুল ফয়েজ তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি উপজেলার আধুনিক কৃষক হিসেবে অভিহিত হন সম্প্রতি। তিনি এখনো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে নানা ধরনের নতুন প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।