শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বার ২০২৫,

কৃষক আবুল হোসেন

মরুভূমির সাম্মাম ফলছে সাতকানিয়ার ছদাহায়

ছদাহা ইউনিয়নে শিশুতলা এলাকায় সফলভাবে চাষ হচ্ছে মরুর ফল 'সাম্মাম'

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘি এলাকায় প্রথমবারের মতো মরুর ফল 'সাম্মাম' চাষ শুরু হয়েছে। ২০ শতক জমিতে মো. আবুল হোসেন নামক এক কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে এই ফলের চাষ করেছেন এবং ইতিমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। এর আগে তিনি ওই একই জমিতে হলুদ জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হন।

সাম্মাম ফলের চাষ পদ্ধতি:
সাতকানিয়ার ঠাকুরদীঘি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে সাম্মামের বীজ রোপণ করা হয় এবং বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে মালচিং পদ্ধতিতে রোপণ করা হয়। সাম্মাম ফল দুটি প্রজাতির হয়: একটির বাইরের অংশ সবুজ এবং ভিতরের অংশ লাল, আর অন্যটির বাইরের অংশ হলুদ এবং ভিতরের অংশ লাল। তবে দুটি ফলই মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত।

পপুলারিটি:
সাম্মাম বর্তমানে সাতকানিয়ার স্থানীয়দের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষত, চীন, ভারত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং আরব দেশগুলোতে সাম্মামের আবাদ বেশ ভালো হয় এবং সৌদি আরবের মতো দেশে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

কৃষক আবুল হোসেনের সফলতা:
কৃষক মো. আবুল হোসেন জানান, গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ২০ শতক জমিতে প্রায় ১,২৫০টি সাম্মাম চারা রোপণ করেছিলেন। চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি ঢাকার সদরঘাটের একজন পাইকারকে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় ৪৫৫ কেজি সাম্মাম বিক্রি করেছেন। খেতে আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার সাম্মাম রয়েছে, এবং তিনি আশা করছেন, সাম্মাম চাষে তিনি লাভবান হবেন।

কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের মন্তব্য:
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, "সাম্মাম চীন, ভারত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং আরব দেশগুলোতে ভালো উৎপাদিত হয়। সৌদি আরবে এই ফল খুবই জনপ্রিয়।" তিনি আরও বলেন, "সাতকানিয়ায় এই প্রথম সাম্মামের আবাদ হয়েছে, যা বৃহত্তর চট্টগ্রামে নতুন একটি কৃষি উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।"

এই সফলতা সাতকানিয়ায় কৃষির নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। 

প্রথমআলো থেকে সংগৃহীত,  ১৮ অক্টোবর ২০২১